সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধের হাতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে কাছে সোপর্দ করেছে। সোমবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি হাসানবাদ সন্দ্বীপ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহেল রানা।
অভিযুক্ত বৃদ্ধ মো. ইউসুফ (৭০) মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে।
এর আগে বিকেলে গ্রামের একটি কুচক্রী মহল ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা চালায়। সোমবার রাত দশটার দিকে স্থানীয় জনতা ওই বৃদ্ধকে ঘর থেকে তুলে এনে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধর্ষণের শিকার নয় বছরের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ইউসুফ লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট ছেলেরা ওকে অনেক ভয় পায়। আজকে লোকজনের অজান্তে ১০০ টাকার লোভ দেখিয়ে পুকুরপাড় থেকে মেয়েটিকে কোলে করে নিজের বাসার দোতালায় নিয়ে যান তিনি। সেখানে ধর্ষণ করেন শিশুটিকে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের মাতাব্বররা বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। এতে শিশুর পক্ষও মেনে নেয়। কিন্তু টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দফারফা করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। রাতে তারাবি নামাজের পর বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় স্থানীয় জনতা অভিযুক্ত বৃদ্ধকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে পিটুনি শুরু করে। পরে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সোহেল রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন এবং আহত শিশুটিকে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. সোহেল রানা বলেন, জনগণের রোষানল থেকে আমরা ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসছি এবং ধর্ষণের শিকার নয় বছরের আহত শিশুটিকে প্রথমে থানা ও পরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেছি।
এ বিষয়ে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হবে এবং পরবর্তীতে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
